Newsroom
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত সেশনের ভর্তি পরীক্ষার বিস্তারিত তথ্যাবলি
Published: 14 May 2025- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সি ইউনিট:
ব্যবসায় শিক্ষার শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের প্রধান লক্ষ্য থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সি ইউনিট। তবে সি ইউনিটের সিট সংখ্যা ভর্তিচ্ছুদের তুলনায় খুবই কম। সি ইউনিটে মোট ১০৫০টি সিট রয়েছে। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে সি ইউনিটে ৩৭,৬৮১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছিল, প্রতি আসনের জন্য গড়ে লড়াই করেছিল ৩৭ জন, এবং পাশের হার ছিল ১৩.৩৩%। পাস করেছিল মাত্র ৪৫৮২ জন। তবে যারা পাশ করেছে, তারা সবাই কি ভর্তি হওয়ার সু্যোগ পেয়েছিল? একেবারেই না। গত বছরের সর্বশেষ ভর্তির সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীর নম্বর ছিল ৮৩-৮৬ এর মধ্যে ( আনুমানিক তথ্য), এবং প্রথম হওয়া শিক্ষার্থীর নম্বর ছিল ১০৫.৫০। এর বাইরে যারা পাস করেছিল তারা ভর্তির সুযোগ পায়নি।
তারমানে এ বছর ৮৪ নম্বর পেলেই যে চান্স হবে, তা নয়। এমনও হতে পারে, ৯০ নম্বর পেয়েও কেউ চান্স পাবে না। কারণ, ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে মার্কস খুবই সংবেদনশীল। আসন সংখ্যা ১০৫০, তাই ১০৫০তম শিক্ষার্থী যে নম্বর পাবে, সেটাই হবে সর্বনিম্ন নম্বর। সেটা ৯০ হতে পারে, আবার ৮০ও হতে পারে। তবে আগে কোটা ভিত্তিক কিছু আসন ছিল। আশা করা যায় এইবারও কিছু আসন বরাদ্দ থাকবে।
ভর্তি পরীক্ষা (এমসিকিউ ৪০ + লিখিত ৬০) = ১০০ নম্বর
এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত GPA = ২ × SSC GPA = ১০ নম্বর
এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত GPA = ২ × HSC GPA = ১০ নম্বর
মোট = ১২০ নম্বর
- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ইউনিট:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ইউনিটে (ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ) মোট আসন সংখ্যা ৫২০টি। অবাক করার মতো বিষয় হলো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় আসন সংখ্যা কম হলেও পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় কাছাকাছি। ২০২৪-২৫ সেশনে ৩৪,৫৪১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল এবং পাশের হার ছিল ৪৫.০৩%। প্রতি আসনের জন্য গড়ে লড়াই করেছিল ৬৭ জন।
গত বছর প্রথম হওয়া শিক্ষার্থীর নম্বর ছিল ৮৬.৫০। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, রাবিতে জিপিএ মার্ক নেই, পরীক্ষাটি ১০০ নম্বরের হয়। গত বছর সর্বশেষ ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর অবস্থান মেধা তালিকায় ৭০০তম ছিল। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার জন্য সঠিক প্রস্তুতি এবং প্রতিযোগিতার গুরুত্ব বুঝে কাজ করতে হবে।
ভর্তি পরীক্ষা মোট = ১০০ নম্বর (এমসিকিউ)
- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ই ইউনিট:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ই ইউনিট, অর্থাৎ ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে মোট আসন সংখ্যা ২০০টি। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ১৮,১০৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। সর্বশেষ মেধা তালিকায় যে শিক্ষার্থী চান্স পেয়েছিল তার প্রাপ্ত নম্বর ছিল ছেলে: ৪৯.৫২, মেয়ে: ৪৫.৩৬। । উল্লেখযোগ্যভাবে, এই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ছিল ছেলে: ৭৭.৮০ ও মেয়ে: ৭৩.৮০।
ভর্তি পরীক্ষা (এমসিকিউ) = ৮০ নম্বর
এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত GPA = ১.৫ × SSC GPA = ৭.৫ নম্বর
এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত GPA = ২.৫ × HSC GPA = ১২.৫ নম্বর
মোট = ১০০ নম্বর
- বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (BUP) এর FBS :
BUP-এর ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে (FBS) মোট আসন সংখ্যা ছিল ৫০০টি। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে মোট ১১,৫৯২ জন শিক্ষার্থী এই ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল, এবং পাশের হার ছিল ১৪.০৫%। BUP কাট মার্কস বা সর্বোচ্চ মার্কস সম্পর্কে কোনো তথ্য প্রকাশ করে না। তবে এখানে কাট মার্কস অনেক কম হয় বলে শোনা যায়।
BUP-তে সাধারণত ২ ধাপে ভর্তি পরীক্ষা হয়।
প্রথম ধাপে এমসিকিউ মোট ১০০ নম্বর। দ্বিতীয় ধাপে ভাইভা হয়।
- গুচ্ছ সি ইউনিট (GST):
GST-এর ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে মোট ৩,৬২৯টি আসন ছিল। এ শিক্ষাবর্ষে মোট ৪০,১১৬ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল, এবং পাশের হার ছিল ৫৬.২৬%। এই ইউনিটে সর্বশেষ মেধাতালিকায় চান্স পাওয়া শিক্ষার্থীর সর্বনিম্ন প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৩০ (GPA ছাড়া) (আনুমানিক)।
ভর্তি পরীক্ষা এমসিকিউ = ১০০ নম্বর।
- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় :
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বাণিজ্য অনুষদের আসন সংখ্যা ছিল মোট ৪৬০টি।বাণিজ্য অনুষদভুক্ত 'সি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় মোট ২০,১১২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন। এই ইউনিটের অধীনে দুটি শিফটে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়: প্রথম শিফটে ৮,৬৮১ জন এবং দ্বিতীয় শিফটে ১১,৪৩১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেন। প্রথম শিফটে উপস্থিতির হার ছিল ৮৪.৭৮% এবং দ্বিতীয় শিফটে ৭৭.২৫%। মোট উপস্থিতির হার ছিল ৮০.৫০% ।
- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদভুক্ত 'সি' ইউনিটে মোট ৬৪০টি আসন বরাদ্দ ছিল।এই ইউনিটে আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ২১,৩৯৩ জন, যার ফলে প্রতি আসনে গড়ে ৩৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন
২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে
Published: 15 Oct 2024আজ মঙ্গলবার (১৫ অবেক্টাবর) বেলা ১১টায় ২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ৯টি সাধারণ ও মাদরাসা এবং কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৭৭.৭৮ শতাংশ। নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অনলাইনে একযোগে এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
এবারের এইচএসসিতে সব মিলিয়ে অংশ নিয়েছে ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ পরীক্ষার্থী। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১১ লাখ ২৮ হাজার ২৮১ জন। অন্যদিকে, আলিম পরীক্ষায় অংশ নেয় মোট ৮৮ হাজার ৭৬ জন। এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি (ভোকেশনাল) ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪৩৩ জন।
গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। প্রথম প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী ৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচিতে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে স্থগিত পরীক্ষাগুলো না নিতে আন্দোলনে নামেন একদল পরীক্ষার্থী। একপর্যায়ে পরীক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করা হয়।
বাতিল পরীক্ষাগুলোতে এসএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে এইচএসসিতেও একই নম্বর দিয়ে ফল তৈরি করেছে শিক্ষা বোর্ড। তাছাড়া বিভাগ ও বিষয়ে মিল না থাকলে সেক্ষেত্রে সাবজেক্ট ম্যাপিং নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে।
ফলাফল দেখুন এখানে
এবারো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটের পাশাপাশি যে কোনো মোবাইল থেকে এসএমএস করে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল জানা যাবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ঢাকা বোর্ডের ওয়েবসাইট
(www.dhakaeducationboard.gov.bd) ও বোর্ডগুলোর সমন্বিত ওয়েবসাইটে (www.educationboardresults.gov.bd) গিয়ে রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম এন্ট্রির পর প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ফলাফল নামানো যাবে। এছাড়া পরীক্ষার্থীরা রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর টাইপ করে ফল জানতে পারবেন। ফল প্রকাশের পর মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমেও তা জানা যাবে।
এইচএসসির ফল জানতে EIIN লিখে স্পেস দিয়ে শিক্ষাবোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২৪ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে আসবে ফল।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
Published: 27 Sep 2024
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
Published: 14 Sep 2024যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলের বৃহত্তর যশোর জেলার প্রথম ও একমাত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। ২০০৭ সালের ২৫ জানুয়ারি এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৮-২০০৯ শিক্ষাবর্ষে এর শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানেএ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮টি অনুষদের অধীনে মোট ৩৬টি বিভাগে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি পর্যায়ে ৬ হাজার ২১৩ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রফেসর, অ্যাসোসেয়েট প্রফেসর, অ্যাসিসট্যান্ট প্রসেসর ও লেকচারার মিলিয়ে মোট ২৭৬জন শিক্ষক রয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৪টি আবাসিক হল রয়েছে। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় খুলনা বিভাগের চতুর্থ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
Published: 14 Sep 2024